আড়াইহাজার প্রতিদিন ডেক্স:-
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ডাকাতি করতে গিয়ে মা ও শিশু ছেলেকে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার (২জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোপীন্দী পশ্চিমপাড়া এলাকায়।
নিহতরা হল মৃত আউয়াল কাজীর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (৩৮) ও তার শিশু পুত্র দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র তালহা (৮)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে.রবিবার ভোরে পার্শ্ববতী বাড়ির আশ্রাফুল গাজীর স্ত্রী জান্নাতি বেগম(১৮) নিহতের বাড়িতে যায়। সে জাকিয়া সুলতানাকে ডাকাডাকি করে কোন সারাশব্দ না পেয়ে বারান্দার গেইট ও ঘরের দরজা খোলা পেয়ে ঘরে গিয়ে শিশু ছেলের ও রাজিয়া সুলতানার রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। ঐ সময় চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। পরে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। থানা পুলিশ ও সিআইডির টিম হত্যার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ ও লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
নিহত রাজিয়া সুলতানার ভাই খন্দকার মনিরুল ইসলাম জানান,সকালে স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে এসে দেখতে পান তার বোনের জবাই করা লাশ একটি কক্ষের ফ্লোরে পড়ে আছে ও অন্য একটি কক্ষে খাটের উপরে ভাগিনা তালহার জবাই করা মৃতদেহ পড়ে আছে। তিনি জানান,রাজিয়া সুলতানার স্বামী বিগত কয়েক বছর আগে মারা যায়। তার পর থেকে তার বোন রাজিয়া সুলতানা ও তার শিশু পুত্র তালহাকে নিয়ে এ বাড়িতেই বসবাস করে। শিশু পুত্র তালহা মনোহরদী মডেল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান,সকালে এসে দেখতে পান তার ঘরের ষ্টিলের আলমারী খোলা ও মালামাল তছনছ করা অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি সন্দেহ করছেন রাতে হত্যাকারীরা ঘরে প্রবেশ করে ঘরে ডাকাতি করে। তার বোন ডাকাতদের চিনে ফেললে তারা তাদের হত্যা করতে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন।
নিহত রাজিয়া সুলতানার বোন খন্দকার ফারহানা সুলতানা বলেন,আমার বোনের কোন শত্রু আছে বলে আমাদের জানা নাই। তবে তার ঘরের আলমারী খোলা ও মালামাল তছনছ করা দেখে মনে হচ্ছে বোনের স্বর্ণালংকার ডাকাতি করতে পারে হত্যাকারীরা।
এ ঘটনায়,নারায়ণগঞ্জের গ সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন ও সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ডাকাতি ও হত্যার সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, ঘটনার পর পুলিশ ও সিআইডি টিম হত্যার বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ ও পরীক্ষা নিরিক্ষা করছে। নিহত মা ও ছেলেকে ধারালো অস্ত্রদ্বারা জবাই করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তবে এখন এর বেশী কিছু বলা যাবেনা বলে তিনি জানান। তবে দ্রুত হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে বলেও তিনি জানান।