আড়াইহাজার(নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:-
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের সামনে থেকে উঠাইয়া নিয়া ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্ত অপু(২২)কে গ্রেপ্তার করেছে।
ধর্ষিতার পিতার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার সাতগ্রাম ইউনিয়নের দেবৈ এলাকায় দরিদ্র ধর্ষিতার বাড়ি।
নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে(১৭) পুরিন্দা এলাকায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববতী নোয়াদ্দা গ্রামের শহিদ এর ছেলে অপু মেয়েটিকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত।
অপুর ধারাবাহিক প্রেমের প্রস্তাবে মেয়েটি তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। অপু বিভিন্নস্থানে ঘুরতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
বিগত ১০ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মেয়েটি পুরিন্দা কেএম সাদেকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগনেতা অপু বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মেয়েটিকে তার কালো রংয়ের প্রাইভেটকারে তুলে তাদের বাড়ির পাশে বালুর মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটিকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে প্রাইভেটকারের ভিতরে ধর্ষণ করে।
ঐ সময় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে অপু তাকে এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ে করবে বলে অশ্বস্ত করে চলে যায়। সম্প্রতি মেয়েটি অপুকে বিয়ের কথা বললে অপু মেয়েটিকে বিয়ে করবেনা বলে জানায়।
মঙ্গলবার ধর্ষিতা তার পিতা-মাতাকে ধর্ষণের কথা জানালে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে অপুকে আসামী করে আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় বুধবার সকালে পুলিশ নোয়াদ্দা এলাকা থেকে ধর্ষক অপুকে গ্রেপ্তার করে।
আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ আজিজুল হক হাওলাদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।