টাইঙ্গাইলে ও ময়মনসিংহে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় আট জন প্রাণ হারিয়েছে। তাদের মধ্যে ময়মনসিংহে ছয়জন ও টাঙ্গাইলে দুইজনের প্রাণহানি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয়।
ময়মনসিংহে তিন শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু
ময়মনসিংহে উপজেলার নান্দাইলের গাংগাইল ইউনিয়নেই বজ্রাঘাতে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গাংগাইল ইউনিয়নের কংকরহাটি গ্রামের মাঠে ফুটবল খেলার সময় বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলে মারা যা শহীদুল্লাহর ছেলে সাঈদ মিয়া (১২), হাদিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন (১১) ও বিল্লাল হোসেনের ছেলে শাওন (৮)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ।
এছাড়ও ময়মনসিংহ সদরের দড়ি কুষ্টিয়া বালাপাড়া এলাকায় বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রাঘাতে মারা যান হাসেন আলীর ছেলে আবু বক্কর (৪০) ও পচা মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২)। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, বিল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার চরমোহিনী গ্রামের ঘোগরা বিলে মাছ ধরার সময় বজ্রাঘাতে আহত হন গফুর মিয়ার ছেলে আবু সাঈদ (৩০)। তাকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধোবাউড়া থানার ওসি টিপু সুলতান।
টাঙ্গাইলে দুজনের মৃত্যু
একইদিন টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের শিল্পপার্ক এলাকা ও যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্ণি এলাকায় বজ্রাঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর সিকিউরিটি গার্ডসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন চারজন। আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মারা যাওয়া দুজন হলেন- সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের শিল্পপার্ক এলাকার জাহাঙ্গীর আলম খানের ছেলে নাসির উদ্দিন ও দুর্গম চরাঞ্চল কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের দরবেশ আলী মুন্সীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী (৪৫)। আহতরা হলেন- শহরের একডালা মহল্লার সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও শামীম (৩২)।
সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, প্রচণ্ড বৃষ্টির সময় সদর থানাধীন দুটি স্থানে বজ্রাঘাতে দুজন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন চারজন। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও জানান, মারা যাওয়া নাসির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কাজ করার সময় বজ্রাঘাতে মারা গেছেন। দুজনের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।