আড়াইহাজার প্রতিদিন ডেক্স:-
জ্বালানী তেল ও দ্রব্য মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির কেন্দ্রীয় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের গোপালদী পৌরসভা এলাকায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূইয়ার নেতৃত্বে গোপালদী পৌরসভা বিএনপির নেতাকর্মীদের বের করা বিক্ষোভ মিছিল পন্ড হয়ে গেছে। দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে লক্ষীবরদী হয়ে গোপালদী বাজার সংলগ্ন বালুর মাঠে আসার সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলায়। এতে পন্ড হয়ে যায় বিক্ষোভ মিছিলটি। এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ঘটনার সময় দায়িত্ব পালনরত গোয়েন্দা পুলিশের(ডিএসবি) এএসআই কুদ্দুস এর উপর হামলা চালায় আওয়ামীলীগের কিছু নেতাকর্মী। এ পুলিশ কর্মকর্তাকে মাঠিতে ফেলে এলোপাথারী পারপিট করা হয়। তার কিছুক্ষন পর গোপালদী বাজার বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি সমর্থক মনির হোসেনের কাঠ ও বাঁশের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেয় আওয়ামীলীগকর্মীরা। ঐ সময় সংবাদ এর আড়াইহাজার প্রতিনিধি ও খবরের পাতার ষ্টাফ রিপোর্টার এবং আড়াইহাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক হারাধন চন্দ্র দে আগুনের ছবি তুলতে গেলে কিছু সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়। আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউছূফ আলী ভূঁইয়া বলেন, স্থানীয় লক্ষিবরদী এলাকা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে গোপালদী বাজার সংলগ্ন বালুর মাঠ এলাকায় যাচ্ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেনসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগের লোকজন গোপালদী পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনিরের বাঁশের দোকান আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমি শুনেনি আগুনের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। সত্য প্রকাশ হওয়ার ভয়ে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাঁধা দেওয়াসহ তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে আওয়ামীলীগ। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা মনির সিকদার বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা এলাকায় নাশকতা করার চেষ্টা করছিল। এসময় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা তাতে বাঁধা দেয়। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, কোন প্রকার অনুমতি না নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করেন। এতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।